গত ২০১৯ সালে বর্তমান কেন্দ্র সরকার একটি আইন পাস করেছিল, যা হল CAA (Citizenship Amendment Act) বা ভারতের নাগরিকত্ব আইন বিল। এটি ২০১৯ সালে পাশ হলেও, তা লাগু করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আইনটির বিরুদ্ধে বিরোধিতা করেছিল অনেকেই এবং দেশে অশান্তকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে এক মতবিরোধ তৈরি হয়েছিল এই সিএএ(CAA) নিয়ে। ২০১৯ সালের পরে এই পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় । ২০২৪ এ লোকসভার ভোটের আগে আবারো সিএএ কার্যকর করতে চাইছে, এমনই খবর উঠে আসছে। এই বিষয়টি নিয়ে আবার রাজনীতিক মহল উত্তপ্ত হতে চলেছে বলে অনেকেই মনে করছেন। এই ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন বিল নিয়ে সারাদেশে শুরু হয়েছিল বিরোধিতা ও আন্দোলন। তারপরেই আসে করোনা মহামারী যার জন্য সিএএ বিষয়টি একটু চাপা পড়লেও, বর্তমানে ২০২৪ এ লোকসভা ভোটের আগেই এই বিল পুনরায় আনার চেষ্টা চলছে।
নাগরিকত্ব সংশোধনে বিল কি( What is CAA)
২০১৯ সালে ভারতীয় সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করা হয়। এই বিলের অনুযায়ী যে সকল ব্যক্তি আমাদের দেশের বাসিন্দা নয় অর্থাৎ বাইরের প্রতিবেশী দেশ থেকে বিভিন্ন বেআইনি পথ অবলম্বন করে দেশে প্রবেশ করেছে তাদের চিহ্নিত করা। অনুপ্রবেশকারী বর্তমানে ভারতের বাসিন্দা বলে নিজেকে দাবি করছে, তাদেরকে ভারতীয় সংবিধানের আইনের মাধ্যমে একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করা সিএএ বিলের লক্ষ্য। ২০১৪ সালে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত যে সকল রিফিউজি পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ মায়ানমার, শ্রীলংকা প্রভৃতি দেশ থেকে ভারতে এসে,ছে তাদেরকে নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে, সে ব্যাপারেও এই বিলে বলা হয়েছে। ২০১৯ সালে সংসদের উভয়কক্ষ থেকে বিলটি মেজোরিটি ভোটে পাস করার পর, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সম্মতিক্রমে বিল টি আইনে পরিনত হয়। তবে আইনটি এখনো পর্যন্ত লাগু করা হয়ে ওঠেনি। কিন্তু সামনের লোকসভা ভোটের আগেই এই আইনটি কার্যকর হতে চলেছে সরকারি দপ্তর সূত্রে এমনই খবর পাওয়া যাচ্ছে।
CAA নিয়ে বিরোধিতায় উত্তপ্ত দেশ
সিএএ এই বিলটি আইনে পরিণত হলেও, এই আইনটি আজ পর্যন্ত কার্যকর করা হয়ে ওঠেনি। এর মূলে রয়েছে কেন্দ্র সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের মধ্যে দ্বন্দ্ব। এই বিলটি পাস হওয়ার পর দেশে এক অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছিল তা আমরা সকলে দেখেছি। বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন শহরে চলতে থাকে বিরোধিতা, আন্দোলন, প্রদর্শন প্রভৃতি। কিন্তু সাম্প্রতিতে মোদি সরকার পুনরায় এই আইনের বিষয়ে তোরজোর শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কিছুদিন পূর্বে কলকাতার একটি জনসভা মঞ্চে CAA বিষয়টি তুলে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করে । বিজেপি সরকারের ভোট পূর্ব প্রতিশ্রুতির মধ্যে একটি বড় প্রতিশ্রুতি ছিল এই CAA কার্যকর করা। অন্যদিকে মমতা ব্যানার্জিও এই বিল নিয়ে বিরোধিতা করে চলে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে কেন্দ্র সরকার আমাদের বিভ্রান্ত করছে।
কবে চালু হতে পারে CAA আইন ?
কেন্দ্র সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের দেওয়া খবর মারফত জানা যাচ্ছে যে, লোকসভা ভোটের পূর্বেই লাগু করা হতে পারে CAA আইন। এই লোকসভা ভোট ২০২৪ এর মার্চ এপ্রিল মাসে হতে চলেছে । কেন্দ্র সরকারের বিগত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী লোকসভা ভোটের আগেই CAA (Citizenship Amendment Act) কার্যকর হতে চলেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছে আবারো এই আইন নিয়ে বিরোধিতা, আন্দোলন হতে পারে। দেশে আবার অনেক অরাজকতাকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
কিভাবে দেওয়া হবে ভারতের নাগরিকত্ব ?
ভারতের নাগরিকত্ব দানের প্রক্রিয়াটি অনলাইন (Online) এর মাধ্যমে হতে চলেছে। যারা ভারতের নাগরিকত্ব নিতে চায়, তারা নিজের মোবাইলের মাধ্যমেও এই আবেদন প্রক্রিয়াটি করতে পারবে। এই কার্যপ্রক্রিয়াটি করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হবে প্রতিটি জেলার ডিএমদেরকে। বর্তমানে ৩০ টিরও বেশি জেলার ম্যাজিস্ট্রেটদের এই ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মাত্র ৯টি রাজ্যের ক্ষেত্রে দিল্লী ( Delhi),মহারাষ্ট্র (Maharashtra), মধ্যপ্রদেশ (Madhya pradesh), পাঞ্জাব (Panjab), হরিয়ানা (Haryana), রাজস্থান (Rajasthan), ছত্রিশগড় (Chattisgarh), উত্তর প্রদেশ (Utter pradesh), গুজরাট (Gujrat) প্রভৃতি নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। পরিউক্ত ভারতের প্রতিবেশী দেশের নির্যাতিত অমুসলিম নাগরিকরা আবেদন করতে পারবে। তাদেরকে এই নটি রাজ্যে বর্তমানে নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে।
Govt Job is a genuine Job Content Provide. We work from few years. We provide genuine and helpful content to user. Thank You