WB Govt Scheme :পুজোর প্রাক মুহূর্তে রাজ্যে এলো নতুন প্রকল্প। এই স্কিমের মাধ্যমে রাজ্যের পুরুষেরা প্রত্যেক মাসে পাবেন ১০০০ টাকা। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্প বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এর আগে রাজ্য সরকার মহিলাদের জন্য একাধিক প্রকল্পের সূচনা করলেও পুরুষদের জন্য তেমন কিছু দেয়নি। এই প্রথম পুরুষদের জন্য কোন ভাতা প্রকল্পের সূচনা করলেন। আগে রাজ্যের মহিলাদের জন্য কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মী ভান্ডার এর মত একাধিক প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় প্রকল্পটি হলো লক্ষী ভান্ডার প্রকল্প। যার মাধ্যমে রাজ্যের মহিলারা ১০০০ টাকা করে মাসিক ভাতা পেয়ে থাকে। এছাড়াও তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে মাসিক বারোশো টাকা পান। WB Govt Scheme
মূলত মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলার উদ্দেশ্যে রাজ্য সরকারের একাধিক মহিলা কেন্দ্রিক প্রকল্পের সূচনা। তবে প্রকল্প গুলির সুফল রাজ্য সরকার একাধিকবার পেয়েছেন, সেটা লোকসভা নির্বাচন হোক অথবা বিধানসভা। সামনেই ২০২৬ বিধানসভা ভোট, তাই সরকার পুরুষ ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য একটি নব প্রকল্পের সূচনা করেছেন। যার মাধ্যমে আবেদনকারীরা প্রতিমাসে ১০০০ টাকা করে পাবেন। তবে এই প্রকল্পে বেশকিছু শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। যাদের উক্ত যোগ্যতা রয়েছে একমাত্র তারাই এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন। নিম্নে এই প্রকল্প সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো।
• প্রকল্পের নাম:
ভারতবর্ষ তো বটেই আমাদের রাজ্য অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ হলো কৃষি প্রধান রাজ্য। এখানকার বেশিরভাগ মানুষই কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত। তবে বর্তমানে রাজ্যে কৃষকদের অবস্থা বেশ ভালো নয়। এছাড়াও বৃদ্ধ অবস্থায় কৃষিকাজে সমর্থ্য না থাকায় তাদের রোজগার প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এই সকল দিক চিন্তা করে বর্তমানে রাজ্য সরকার রাজ্যের কৃষকদের জন্য কৃষক ভাতা প্রকল্পে সূচনা করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের কৃষকদের মাসিক ১০০০ টাকা ভাতা দেওয়া হবে।
• আবেদন যোগ্যতা:
- আবেদনকারী পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। এছাড়াও আবেদনকারী যদি পশ্চিমবঙ্গে অন্তত ১০ বছর স্থায়ীভাবে বসবাস করে থাকে তাহলেও তারা আবেদন করতে পারবে।
- আবেদনকারীর বয়স ৬০ বছরের উর্ধ্বে হতে হবে, এছাড়াও তপশিলি জাতি এবং উপজাতির অধিবাসীরা ৫ বছরের বয়সের ছাড় পাবে। অর্থাৎ ৫৫ বছর হলেই তারা আবেদন করতে পারবে।
- আবেদনকারী সর্বাধিক ১ একর জমি থাকলেও আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও ভূমিহীন খেমায়ুর হলেও তারা আবেদন করতে পারেন।
- আবেদনকারী কে ইতিপূর্বে কেন্দ্রীয় অথবা রাজ্য সরকারের তরফে কোন ভাতা পেয়ে থাকলে, এই স্কিমের সুবিধা পাবেন না।
- আবেদনকারীর অবশ্যই একটি সক্রিয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
• আবেদন পদ্ধতি:
কৃষক ভাতা প্রকল্পে আগ্রহী প্রার্থীদের সম্পূর্ণ অফলাইনের মাধ্যমে আবেদন পত্রটি জমা করতে হবে। তার জন্য আবেদনকারী কে সর্বপ্রথমে আবেদন পত্রটিকে ডাউনলোড করে নিতে হবে, আবেদন পত্রটি ডাউনলোড হয়ে গেলে সেটিকে সঠিক তথ্য দ্বারা পূরণ করতে হবে। আবেদন পত্রটি পূরণ হয়ে গেলে তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথিপত্র গুলো যুক্ত করে, স্থানীয় ব্লক কৃষি অধিকর্তার অফিস কিংবা মহকুমা অফিসে গিয়ে জমা করে আসতে হবে।
• প্রয়োজনীয় নথিপত্র:
ভারত সরকারের কৃষক ভাতা প্রকল্পে আবেদনের জন্য আবেদনকারীর যে সমস্ত নথিপত্র প্রয়োজন সেগুলি হল-
- আবেদনকারীর পরিচয় পত্র হিসেবে আধার কার্ড অথবা রেশন কার্ড।
- জমির মালিকানার প্রমাণপত্র, যথা- জমির দলিল অথবা খতিয়ান।
- শারীরিক অক্ষমতা থাকলে তার শংসায় পত্র, তবে এটি আবশ্যিক নয়।
- নিজস্ব ব্লক উন্নয়ন অধিকারী থেকে অন্যান্য স্কিমে টাকা না পাওয়ার শংসায় পত্র।
- আবেদনকারীর নিজস্ব একটি সক্রিয় মোবাইল নাম্বার এবং ব্যাংক পাসবুক।
চাকরি নেই? 10 লক্ষ টাকা দিচ্ছে মোদি সরকার! শুরু করুন নিজের ব্যবসা – Business Idea
আজকের প্রতিবেদনে যে আপডেট সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে তা সংক্ষিপ্ত। যদি আপনি এই উপরোক্ত আলোচনা থেকে নিজেকে আগ্রহী মনে করেন তাহলে আগে বিস্তারিত জেনে নিবেন। এরজন্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে অথবা যদি অফিসিয়াল নোটিশ থাকে তাহলে তা পড়ে নিতে হবে।
অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সোর্স থেকে খবর আপলোড করে থাকি। চাকরির খবরের পাশাপাশি, বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পের খবর সহ ব্যবসা ও দৈনন্দিন বিভিন্ন ধরনের আপডেট দিয়ে থাকি। আপনি যদি একজন চাকরি প্রার্থী হয়ে থাকেন এবং প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের খবরের আপডেট সবার আগে পেতে চান তাহলে আমাদের সঙ্গে জুড়ে থাকবেন। আমরা আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল ও Whatsapp গ্রুপে বিভিন্ন ধরনের খবর সবার আগে শেয়ার করা হয়। তাই আপডেট থাকতে আমাদের সঙ্গে জুড়ে থাকবেন।