পশ্চিমবঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য রয়েছে দারুণ সুখবর। পশ্চিমবঙ্গে প্প্রাইমারি টেট নিয়ে বিতর্ক বহুদিন ধরেই চলছে। আর এদিকে করোনা মহামারীর জেরে অর্থনৈতিক মন্দার দরুণ পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতের চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থা সঙ্গীন। আর এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে প্রাথমিক টেট পরীক্ষার্থীদের জন্য আবার একটি নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই নতুন বিজ্ঞপ্তিটির জেরে আরও একবার আশায় বুক বাঁধছেন পশ্চিমবঙ্গের চাকরিপ্রার্থীরা। আর আজ আমরা এই পোস্টে আলোচনা করতে চলেছি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এই বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক টেট পরীক্ষার্থীদের জন্য ঠিক কি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা সম্পর্কিত বিস্তারিত খবর ( PRIMARY TET )।
এবার আসুন পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (WBBPE) বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে :
পশ্চিমবঙ্গের প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের (WBBPE) তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জানানো হয়েছে যে, 2014 সালে যেসকল চাকরিপ্রার্থীরা প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং 2018-19 শিক্ষাবর্ষে যে সকল চাকরিপ্রার্থীরা প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং ডিএলএড সম্পন্ন করেছেন তারা টেট সার্টিফিকেটের জন্য অনলাইনে আবেদনের সুবিধা না পেলেও অফলাইনে টেট সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে পারবেন। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে এই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে যে, যেসকল চাকরিপ্রার্থীরা প্রাথমিকের টেট সার্টিফিকেটের জন্য অফলাইনে আবেদন করতে চান তাদের বেশ কিছু নথির জেরক্স কপি জমা করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে। আর এই নথিগুলি জমা করার ক্ষেত্রে 16 থেকে 18ই আগস্ট পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণদের।
প্রাথমিক টেট সার্টিফিকেটের জন্য আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি:-
পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত প্রাথমিক টেট সার্টিফিকেটের জন্য প্রয়োজনীয় নথিগুলি হলো:-
1. 2014 সালে যারা প্রাথমিক টেট দিয়েছিলেন তাদের অ্যাডমিট কার্ডের জেরক্স কপি।
2. 2014 সালে প্রাথমিক টেট এ উত্তীর্ণ হওয়ার প্রমাণপত্র।
3. পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের তরফে স্বীকৃত যেকোনো বিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক কিংবা তার সমতুল্য যেকোনো পরীক্ষার মার্কশিট এবং সার্টিফিকেটের জেরক্স।
4. 2019-21 শিক্ষাবর্ষে যে সকল পরীক্ষার্থীরা ডিএলএড কোর্সটি সম্পন্ন করেছেন তাদের ডিএলএড পরীক্ষার মার্কশিটের জেরক্স।
5. পরিচয়পত্র অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ড কিংবা আধার কার্ডের জেরক্স।
—————————————————————————–
আপনি কী কোনোরকম কম্পিউটার পরিষেবা কেন্দ্র খুলতে চাইছেন? তাহলে
বর্তমানে অন্যতম লাভজনক হলো আধার সেবা কেন্দ্র খোলা। নিজের একটি আধার সেবা
কেন্দ্র চালু করে আপনি মাস শেষে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। কিন্তু
অনেকেই জানেন না যে কীভাবে নিজের নামে আধার সেবা কেন্দ্র খুলতে হয়। বহু
অসাধু ব্যক্তি আবার এই সুযোগে নানারকম প্রতারণা চক্রের মাধ্যমে আধার সেবা
কেন্দ্রের টোপ দেখিয়ে অনেকের থেকে মোটা টাকা হাতিয়ে নেয়। তাই কখনই এইসব
প্রতারকদের খপ্পড়ে পড়বেন না। আজকে আপনার সাথে একদম সত্যি ভাবে যে
পদ্ধতিতে আধার সেবা কেন্দ্রের জন্য আবেদন করতে হয় তা নিয়ে আলোচনা করবো
(Aadhaar seva kendra)।
১) রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দ্বারা অফিসিয়াল ভাবে,
২)রেজিস্টারের মাধ্যমে (বিভিন্ন ব্যাংক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে UIDAI এর কানেকশন করা থাকে, এদের রেজিস্টার বলা হয়),
৩)
এনরোলমেন্ট এজেন্সীর মাধ্যমে (কিছু প্রাইভেট এজেন্সী কোম্পানিগুলোকে UIDAI
-এর তরফ থেকে অনুমতি দেওয়া থাকে, তাদের অধীনে আপনারা আধার সেবা কেন্দ্র
খুলতে পারবেন)
সাধারণত প্রথম দুইভাবে আধার সেবা
কেন্দ্র খোলার সম্ভাবনা যথেষ্ট কম। তাই এনরোলমেন্ট এজেন্সীর মাধ্যমে আধার
সেবা কেন্দ্র খোলাই শ্রেয়।
(১) প্রথমে UIDAI -এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যাবেন।
(২) এরপর মেনুবারে About UIDAI অপশনের মধ্যে Aadhaar Dashboard -এ ক্লিক করবেন।
(৩) এবার একেবারে উপরের দিনে Aadhaar Generated লেখাটির নীচের অ্যারো চিহ্নে ক্লিক করবেন।
(৪) এবার Enrollment Dashboard -এর মধ্যে প্রথম বক্সটির নীচে
By States and UT
By Registrars
By Enrolment Agencies
এরকম
অপশন পাবেন। আপনি By Enrolment Agencies -এই অপশনে ক্লিক করবেন। তাহলে
আপনি আধার কর্তৃপক্ষের সাথে সংযুক্ত থাকা সমস্ত প্রাইভেট এজেন্সীগুলোর নাম
দেখতে পাবেন।
(৫) আপনি যে এজেন্সীর অধীনে আধার সেবা কেন্দ্র খুলতে চান তাদের নামটি কপি করে গুগলে সার্চ করুন।
(৬)
মনে রাখবেন, সবসময় সেই এজেন্সীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যাবেন। কোনোরকম
অন্য কোনো থার্ড পার্টি ওয়েবসাইটে গিয়ে যোগাযোগ করবেন না।
(৭) উক্ত
এনরোলমেন্ট এজেন্সীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের Services অপশনটিতে
ক্লিক করে দেখে নিবেন তারা আধার সেবা কেন্দ্র খুলতে সাহায্য করে কিনা।
(৮) এরপরে উক্ত এজেন্সীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে থাকা Contact Us অপশনে ক্লিক করে তাদের সাথে ফোন বা ইমেলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে নেবেন।
(৯) এরপরে এজেন্সী আপনার সাথে যোগাযোগ করবে এবং কীভাবে আধার সেবা কেন্দ্র খুলতে হবে সে বিষয়ে বুঝিয়ে দেবে।
ভারতীয় পোস্ট জনহিতৈষী অনেক যোজনা নিয়ে আসার পর এবার ভারতের জনগনের জন্য কিষান বিকাশ পত্র নামের আরেক ছোট সঞ্চয় প্রকল্প নিয়ে হাজির হয়েছে দেশের কৃষকদের সামনে। নাম থেকেই বুঝতে পারছেন যে, এই স্কিমটি তৈরি হয়েছে মূলত কৃষকদের জন্য। তবে এখানে যে কেউই টাকা জমা করতে পারেন। সম্পূর্ন ঝুঁকিহীন এই প্ল্যান আপনার জন্য দারুন প্রমাণিত হতে পারে।Post Office New Scheme ।
এই প্রকল্পে কত বিনিয়োগ করতে হয় : আপনি 1 হাজার টাকা থেকে নিজের বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন। এরপর নিজের সুবিধামত টাকার অংক বাড়িয়েও নিতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি 50 হাজার টাকার বেশি অংক জমা করতে চান তাহলে আপনাকে নিজের প্যান কার্ডের ডিটেলস জমা দিতে হবে।Post Office Investment for New Scheme
অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বয়সের কী সীমা রয়েছে : ন্যূনতম 18 বছর বয়স হলেই যে কেউ এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। এছাড়া এই স্কিমে বয়সের কোনো ঊর্ধ্বসীমা রাখা হয়নি। এছাড়া অভিভাবক কোনো নাবালকের অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। Post Office New Account
কত সুদ পাওয়া যায় এই স্কিমে : কিষান বিকাশ পত্র (KVP) এর অধীনে আপনি নিজের আমানতের ওপর 6.9 শতাংশ সুদের ফায়দা ওঠাতে পারবেন। নিজের জমা দেওয়া টাকা 10 বছর 4 মাসের মধ্যে দ্বিগুণ হবে। এই স্কিম দেশের জনগণের মাঝে দ্বিগুণ হওয়ার জন্যও বেশ জনপ্রিয়। এই স্কিমে কোনো ঝুঁকি নেই, নিরাপদে টাকা জমা করা যায় এবং দ্বিগুনও করে নেওয়া যায় নিজের টাকা!
কত সময় লাগবে টাকা দ্বিগুণ হতে : এখানে 6.9 শতাংশ সুদ পাওয়া যায়। সর্বনিম্ন 1 হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন আপনি। এখানে আপনার বিনিয়োগের পরিমান 124 মাস বা 10 বছর 4 মাসে দ্বিগুণ হয়ে যায়।
এই প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য অ্যাকাউন্ট কোথায় খোলা হয় : 10 বছর উত্তীর্ণ হলে তার অভিভাবক এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। পোস্ট অফিসের এই স্কিমে, 18 বছর বা তার বেশি বয়সের তিনজন ব্যক্তি একসাথে একটি যৌথ অ্যাকাউন্টও খুলতে পারেন। সারা দেশের যেকোনো পোস্ট অফিসে এই স্কিমে বিনিয়োগ করে সুবিধা পাওয়া যায়।
এই প্রকল্পে কীভাবে বিনিয়োগ করবেন : আপনি যদি এবার এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে চান তাহলে আপনাকে নিজের নিকটস্থ যেকোনো পোস্ট অফিসে গেলেই হলো। আবেদন পত্র পূরণ করে টাকা জমা দিলেই হলো। আবেদন এবং অর্থ জমা দেওয়ার পরে, আপনি কিষান বিকাশ পত্রে বিনিয়োগের শংসাপত্র পাবেন।
তবে মাথায় রাখবেন এই স্কিম কিন্তু আয়কর আইনের 80(C) অধীনে আসে না। এক্ষেত্রে আপনি বিনিয়োগের পরে যে রিটার্ন পাবেন সেখানে আপনাকে কর দিতে হবে। তবে এই স্কিমের মাধ্যমে ঋণ নেওয়ার সুবিধা রয়েছে, সেখানে গ্যারান্টি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে এই কিষান বিকাশ পত্র।
চাকরি, ব্যবসা ও সমস্ত ডিজিটাল আপডেট
আপনাকে ডিজিট্যালি আপডেট রাখতে, সব সময় সজাগ আমরা।
Telegram Channel Link
Govt Job is a genuine Job Content Provide. We work from few years. We provide genuine and helpful content to user. Thank You